স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক
বাংলার সমাজব্যবস্থার সঙ্গে এই নাটকের যোগাযোগ অত্যন্ত গভীর। নাটকটি তিনি রচনা করেছিলেন
নীলকর, বিষধর, দংশন, কাতর, প্রজানিকর, ক্ষেমঙ্করেণ, কেনচিৎ, পথিক বিভিন্ন ছদ্মনামে।
যদিও এ নাটকই তাঁকে খ্যাতি ও সম্মানের চূড়ান্ত শীর্ষে উন্নীত করে। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ভাষায়, নীলদর্পণ নাটক প্রকাশিত হলে এবং এর ইংরেজি অনুবাদ প্রচারিত হলে একদিনেই এ নাটক
বাঙালিমহলে যতটা প্রশংসিত হয়েছিল, শ্বেতাঙ্গমহলে ঠিক ততটাই ঘৃণিত হয়েছিল। এই নাটক অবলম্বন
করে বাঙালির স্বদেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের সূচনা, এই নাটক সম্বন্ধে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত
সম্প্রদায় ও রায়তদের মধ্যে মৈত্রীবন্ধন স্থাপিত হয়, এর মধ্য দিয়েই শ্বেতাঙ্গ নীলকরদের
বর্বর চরিত্র উদ্ঘাটিত হয়। মনে করা হয়ে থাকে, নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল
মধুসূদন দত্ত। তবে আধুনিক গবেষকগণ এ বিষয়ে একমত নন। এই অনুবাদ Nil Durpan, or The Indigo Planting
Mirror নামে প্রকাশ করেছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ। এই অনুবাদ
প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গে দেশে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং জেমস লঙের জরিমানা ও কারাদণ্ড
হয়। জরিমানার টাকা আদালতেই দিয়ে দেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটিই প্রথম
বাংলা নাটক যা ইংরেজিতে অনূদিত হয়। নীলদর্পণ নাটকের মূল উপজীব্য বিষয় হলো বাঙালি কৃষক
ও ভদ্রলোক শ্রেণির প্রতি নীলকর সাহেবদের অকথ্য অত্যাচারের কাহিনী। কিভাবে সম্পন্ন কৃষক
গোলক মাধবের পরিবার নীলকর অত্যাচারে ধ্বংস হয়ে গেল এবং সাধুচরণের কন্যা ক্ষেত্রমণির
মৃত্যু হলো, তার এক মর্মস্পর্শী চিত্র অঙ্কিত হয়েছে এই নাটকে। তোরাপ চরিত্রটি এই নাটকের
অত্যন্ত শক্তিশালী এক চরিত্র; বাংলাসাহিত্যে এর তুলনা খুব কমই আছে। এই নাটকের অন্যতম
বৈশিষ্ট্য
“ ” - Sukdeb Halder
“ ” - মোবাশশিরা খানম
“ ” - jubair
“ ” - Ayshaakter Mitu