চন্দ্রগুপ্ত দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত শেষ ঐতিহাসিক নাটক। প্রাচীন মগধে কীভাবে চন্দ্রগুপ্ত
মৌর্য্য তাঁর কূটকৌশলী মন্ত্রী চাণক্যের সহায়তায় ধননন্দকে পরাজিত করে সিংহাসনে
আরোহণ করেছিলেন, তা এই নাটকের মূল
উপজীব্য। এটি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত অন্যতম জনপ্রিয় একটি নাটক।
সৎভাই নন্দ দ্বারা রাজ্য হতে নির্বাসিত হলে, মগধের রাজকুমার চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য সেকেন্দার শাহের সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন, যেখানে সেলুকাস তাঁকে রণকৌশল শেখান। পরবর্তীকালে মলয়ের রাজা চন্দ্রকেতু, মগধের প্রাক্তন রাজপুরোহিত চাণক্য ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কাত্যায়নের সহায়তায় চন্দ্রগুপ্ত নন্দকে পরাজিত করে মগধের সিংহাসন অধিকার করেন। চাণক্যনন্দকে হত্যা করেন। চন্দ্রকেতুর বোন ছায়া চন্দ্রগুপ্তের প্রেমে পড়েন।
সেকেন্দার শাহের মৃত্যুর পর সেলুকাস এশিয়ার সম্রাট হন। তিনি একজন নির্বাসিত গ্রিক
সেনানায়ক আন্তিগোনাসকে তাঁর সেনাবাহিনীর সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন। আন্তিগোনাস
সেলুকাসের কন্যা হেলেনার প্রেমে পড়েন, কিন্তু সেলুকাস ও হেলেনা উভয়েই তাঁকে অবৈধ সন্তান রূপে গণ্য করে।
আন্তিগোনাস গ্রিসে ফিরে গিয়ে তাঁর মাতাকে প্রশ্ন করে সেলুকাসকে নিজের পিতা রূপে জানতে পারেন।
পরে, সেলুকাস মগধ আক্রমণ করে পরাজত হন। মগধের প্রধানমন্ত্রী চাণক্য ও সেলুকাসের মধ্যকার একটি শান্তিচুক্তির ফলশ্রুতিতে চন্দ্রগুপ্ত হেলেনাকে বিবাহ করেন। চন্দ্রগুপ্তের প্রতি ছায়ার অনুরাগের কথা জানতে পেরে হেলেনা তাঁর
সঙ্গেও চন্দ্রগুপ্তের বিবাহের ব্যবস্থা করেন। ইতিমধ্যে আন্তিগোনাস গ্রিস
থেকে ফিরে এসে নিজেকে সেলুকাসের বৈধ পুত্র হিসেবে ঘোষণা করেন।
“ ” - SUBHADIP MANDAL
“ ” - Sattajit Acharjee
“ ” - Joydip Duary
“ ” - Ozzal Khan