দামেস্ক’র রাজা মাবিয়ার ছেলে এজিদের কামনা-বাসনা,
ব্যর্থতা প্রতিহিংসা আর হাসান হোসেনের করুণ কাহিনী নিয়ে রচিত বিষাদ সিন্ধু উপন্যাসটি।
হাসানের স্ত্রী জয়নাবকে স্ত্রী হিসাবে পাওয়ার বাসনা করেছিল এজিদ। কিন্তু স্বামীভক্ত
জয়নাব এজিদের খারাপ মতলবে সাড়া দেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এজিদ নানা কৌশলে জয়নাবকে পাওয়ার
জন্য ষড়যন্ত্র। এজিদের মন্ত্রী মারওয়ান মদিনায় মায়মুনা নামের এক বৃদ্ধার সাহায্যে হাসানের
পারিবারিক জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করে। হাসানের দ্বিতীয় স্ত্রী জায়েদাকে দামেস্কের রাজরানী
হওয়ার লোভ দেখিয়ে হাসানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে। হাসানকে হত্যা করার পর হোসেনকেও হত্যা
করার জন্য এজিদের মন্ত্রী মারওয়ান তার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে। এজিদের সেনাবাহিনী আক্রমণ
করতে পারে—এই তথ্য দিয়ে মারওয়ান গোপনে হোসেনকে সরে যেতে বলে। পথ ভুলে হোসেন ও তার সঙ্গীরা
কারবালায় গিয়ে পৌঁছায়।
ফোরাতে এজিদের সেনাবাহিনী হোসেন ও তাঁর সঙ্গী অসম
যুদ্ধে লিপ্ত হয়। হোসেনের সঙ্গীরা পরাজিত হয়। সীমার নামক এক পাষণ্ড যোদ্ধার হাতে হোসেন
মৃত্যুবরণ করেন। মীর মশাররফ হোসেনের শ্রেষ্ঠ কৃতি বিষাদ সিন্ধু উপন্যাসটি।
“ ” - Robi User
“ ” - Robi User
“ ” - Motalib Sarkar
“ ” - Raju Ahmed