logo
0
item(s)

বিষয় লিস্ট

ড. সুজাতা মুখোপাধ্যায় এর আপনার অসুখ আপনিই ডাক্তার

আপনার অসুখ আপনিই ডাক্তার
এক নজরে

মোট পাতা: 393

বিষয়: স্বাস্থ্য

রকমারি সমস্যা

 

 

হাঁচি

 

 

ধুলো, জীবাণু, অ্যালার্জেন নাকে এসে ঢুকলে শুরু হয় হাঁচি। উদ্দেশ্য বস্তুটিকে বার করে দেওয়া। সেই অর্থে হাঁচি মঙ্গলজনক। শরীরের প্রোটেকটিভ রিফ্লেক্স। কিন্তু বাড়াবাড়ি হলে মুশকিল। তখন তাকে আয়ত্তে রাখার প্রশ্ন।

 

কারণ

ভাইরাস সংক্রমণ অর্থাৎ সাধারণ ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জা।

অ্যালার্জি। ধুলো, ধোঁয়া, ফুলের রেণু, গন্ধে। ব্যাপারটা খানিকটা জন্মগত, কিছুটা পরিবেশগত। দীর্ঘদিন কোনও রাসায়নিক, ধুলো বা গন্ধের মধ্যে থাকতে থাকতে তাতে অ্যালার্জি হতে পারে।

আচমকা নাকে কিছু ঢুকে গেলেও হাঁচি শুরু হয়।

 

উপসর্গ

ভাইরাস সংক্রমণে হাঁচি, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি, জ্বর, গা-হাতপা-মাথাব্যথা, ক্লান্তি, দুর্বলতা।

অ্যালার্জি থাকলে ঘুম থেকে ওঠা মাত্র হাঁচি শুরু হয়। সঙ্গে নাক বন্ধ, নাক দিয়ে জল পড়া, মাথাব্যথা। বেলা বাড়লে অন্য উপসর্গ কমলেও হাঁচি থেকেই যায়।

 

কী করব

বোঝার চেষ্টা করুন, ঠান্ডা লেগে হয়েছে না মাঝেমধ্যেই হয়।

ঠান্ড লেগে হলে অ্যান্টি অ্যালার্জিক যেমন ফেক্সোফেনাডিন (১২০ মিগ্রা) বা সেটিরিজিন (১০ মিগ্রাম) খান দিনে একটা। জাইলোমেটালোজিন ড্রপ দু-ফোঁটা করে দু-নাকে দিন। দিনে দু-তিন বার। জ্বর, গা-হাত-পা-মাথাব্যথায় প্যারাসিটামল খেতে পারেন প্রয়োজনমতো। দু-তিন দিনে কষ্ট কমে যাবে।

অ্যালার্জিক রাইনাইটিসে প্রাথমিক চিকিৎসা অ্যান্টিঅ্যালর্জিক ট্যাবলেট এবং ন্যাসাল স্প্রে যেমন অ্যাজেলাস্টিন। অথবা স্টেরয়েড স্প্রে, ফ্লুটিকাজোন বা বুডেসোনাইড। দিনে দু-তিন বার। পরের কাজ অ্যালার্জির কারণ দূর করার চেষ্টা। কারণ না পেলে বা একাধিক জিনিসে অ্যালার্জি থাকলে কিছু নিয়ম মেনে চলা, যেমন-

তুলোর বালিশ, তোশক বা লেপ ব্যবহার না করা।

ঘর ঝাড়মোছ, বইয়ের আলমারি পরিষ্কার করা, ফ্যান মোছা, বিছানা ঝাড়া অর্থাৎ যে সব কাজে ধুলো ওড়ার সম্ভাবনা আছে তা বাদ দেওয়া। সম্ভব হলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করুন। নাকে-মুখে কাপড় পেঁচিয়ে নিন।

কার্পেট না রাখাই ভালো বাড়িতে। সমস্যা হলে পর্দা এবং এ সি-ও বাদ দিতে হতে পারে।

বালিশ, বিছানা নিয়মিত রোদে দিন। চাদর, বালিশের ওয়ার ফুটন্ত জলে কাচুন মাঝেমাঝে। তা সত্ত্বে সমস্যা হলে বিছানায় প্লাস্টিক বিছিয়ে শুতে হতে পারে।

•• রং বা মেরামতির কাজ চললে সেখান থেকে দূরে থাকুন।

•• ধূপকাঠি, মশার ধূপ, সুগন্ধী থেকে সমস্যা বাড়লে, এড়িয়ে চলতে হবে।

•• ঘরে যেন আরশোলা না থাকে।

•• পোষা কুকুর, বেড়াল থেকে অনেক সময় সমস্যা হয়।

•• বেশি ঠাণ্ডা এবং ঠাণ্ডা-গরম এড়িয়ে যেতে হবে।

•• কাজের পরিবেশে ধুলো, ধোঁয়া, রাসায়নিক বা কোনও বিশেষ গন্ধ থেকে সমস্যা হলে মাস্ক পরে দেখতে পারেন। উপকার না হলে কাজ পাল্টাতে হতে পারে।

•• বাড়ির আশেপাশে পরিবেশ দূষণ বেশি হলে বাড়ি পাল্টানোর কথা মাথায় রাখবেন।

•• কপাল খারাপ হলে টবে লাগানো ফুলগাছ থেকেও সমস্যা হতে পারে।

•• দরকার হলে ভ্যাকসিন নেওয়া। কীসে অ্যালার্জি তা জানা থাকলে এবং খুব বেশি জিনিসে অ্যালার্জি না থাকলে এতে ভালই কাজ হয়।

নাকে কিছু ঢুকে হাঁচি হতে থাকলে নাক পরিষ্কার করে আইসোটোনিক নরমাল স্যালাইন নাকের ড্রপ, যেমন ন্যাসোক্লিয়ার দু-তিন ফোঁটা করে দু-নাকে দিন।

 

তথ্য : ডাঃ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 

 


 

সংশ্লিষ্ট বই

পাঠকের মতামত
  • Rating Star

    “ ” - Bookworm

রিভিউ লিখুন
রিভিউ অথবা রেটিং করার জন্য লগইন করুন!