মোট পাতা: 44
বিষয়: কাব্যগ্রন্থ
বনলতা সেন
হাজার বছর ধ’রে আমি
পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের
অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার
অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর
অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক,
চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি
দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার
বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুার্য; অতিদূর
সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে নাবিক
হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে
চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে
অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে
নাটোরের বনলতা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের
শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার
রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে
পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির
রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে—সব নদী‒ফুরায় এ-জীবনের সব লেন দেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি
বসিবার বনলতা সেন।
“ ” - Bhaskar Jyoti Misra
“ ” - Mohona Moho
“ ” - MD Piqul
“ ” - আলী হোসেন