আমার এক ভাগ্নের
জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলাম আমার
লেখা একখানা ‘এসো বিজ্ঞানের
রাজ্যে’।
পরের দিন সাত-সকালে
দেখি সে আমার বাড়িতে
এসে হাজির। বললে : মামা, তুমি
তো বিজ্ঞানের রাজ্যে যেতে
বলেছ; বাড়িতে আমার আর মোটেই
মন টিকছে না, এবার বাইরে
বেরিয়ে পড়ব ঠিক করেছি।
ওর কথার কী যে জবাব
দেব কিছু ভেবে পেলাম
না।
দু’দিন যেতে
না যেতেই চারদিকে খোঁজ-খোঁজ, তত্ত্ব-তালাশ। কী ব্যাপার? না, লিকবিক—ধরো, ওই তার নাম—বাড়ি
থেকে পালিয়েছে।
ভাবনা হল, বোকাটা
আবার বিজ্ঞানের রাজ্যের খোঁজ
করতে গেল না তো!
ফিরে এলো ও সাত দিনের
মধ্যেই।
জিজ্ঞেস করলাম : কী রে, এ ক’দিন কোথায়
ছিলি?
সারা মুখে লজ্জা
মেখে ও জবাব দিলে : এই একটু
চাটগাঁয়ে গিয়েছিলাম খালার বাড়িতে।—আর জানো
মামা, এবার কিন্তু পতেঙ্গায় সমুদ্দুর
দেখে এসেছি। সে কী ঢেউ, বাসরে
বাস!
ভয়ে আমার তো সারা
গায়ে কাঁটা! আর সে কী লোকের
ভিড় সেখানে!
বললম : মৎস্য-কুমারী দেখেছিস
সমুদ্দুরের ধারে? কি বললি, দেখিস
নি?
তাহলে আর কী দেখলি
সমুদ্দুরের।—এই না বলে ফাঁক
বুঝে শুনিয়ে দিলাম তাকে
মৎস্যকন্যাদের গল্পটা। আর তার সঙ্গে
সঙ্গে বললাম মৎস্যকন্যাদের রাজ্যছাড়া
করার জন্যে মানুষ আজ কেমন
কোমর বেঁধে লেগেছে তার কথাও।
মৎস্যকন্যাদের গল্প
শেষ হতেই এলো আরো নানান
দেশের গল্প। আকাশের
রাজ্যে সাত-রঙা আলোর
ধনুকটা শুকোতে দেন কি দেবতারা? কোথায়
জমাট তুষারের দেশ সেই মেরুর
রাজ্য, সেই বরফের মধ্যেকার কতো সব কাণ্ড। কোথায় কুমিরের দেশ আফ্রিকা?...কতো রকমের
মানুষ যে ছড়িয়ে আছে সারা
দুনিয়াজুড়ে, আর কেমনই বা তাদের
প্রকৃতির সঙ্গে লড়াইয়ের কায়দা!...
“ ” - Bookworm