প্রথম পারা
১.
সুরা ফাতিহাহ্
অন্তরের দরজা খুলে দেয়া : মক্কী : ৭ আয়াত।
পরম করুণাময় [বিগলিত
করুণারাশি] অনন্ত অসীম প্রেমময়
আল্লাহ্-তা’য়ালার নামে
১. সমস্ত প্রশংসা
আ্ল্লাহ্তা ’য়ালার জন্যে, পৃথিবী ও এর বাইরে সব সৃষ্ট জগতের যিনি প্রভু, [আল আমিন]
২. যিনি রহমান ও রহিম [যার করুণারাশি সব সময় ঝরে পড়ছে]*
৩. বিচার দিনের মালিক।
৪. আমাদের সকল প্রার্থনা
তোমারই উদ্দেশ্যে [হে প্রভু], তোমার সকল সাহায্যের আশায়।
৫. তোমার কাছে চাই সবচেয়ে
সরল পথের ঠিকানা, [সিরাত উল্ মুস্তাকিম]
৬. তোমার অনুগ্রহ দিয়ে যে
পথ আলোকিত।
৭. সে পথ নয়, যারা পথ হারিয়েছে তোমার অভিশাপে।
* সা’ল তুশ্তারি বলছেন:
আকাশ কালো করে যখন নামে
বৃষ্টির জলধারা, নদীর সামনে প্রবহমান জলরাশি, রহমানের রহিমের সেই বিগলিত করুণারাশির কথাই মনে করিয়ে দেয়।
২.
সুরা বাকারাহ্
গাভী : মাদিনাকাল : ৪০ রুকু ২৮৬ আয়াত
সুরার
নামকরণ হয়েছে ৬৭-৭৩ আয়াতের বর্ণনায়। রসূলুল্লাহ্ (স)-র মদিনা হিজরতের পর, বিশেষ করে ঐ সময়ের প্রথম দু’বছরের মধ্যে এ সুরাটির সবটুকু নাজিল হয়েছিল, যদিও ২৭৫-২৮১ আয়াতসমূহ নাজিল হয় রসূলুল্লাহ্ (স)-এর মৃত্যুর আগের শেষ
কয়েক মাসের মধ্যে।
এতে বর্ণিত : কুরআন
পাঠানোর দু’টি উদ্দেশ্য, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক। আল্লাহ্ সম্পর্কে সমুন্নত চেতনা বিকাশের আহ্বান, সেই সঙ্গে অবতীর্ণ বাণীর অনুসারীদেরকে দেয়া বারংবার ভুলের
কথা,
বিশেষ করে ইসরাঈল সন্ততিদের কথা। ১০৬ আয়াতে মুহাম্মদ (স)-কে ওহীর মাধ্যমে আগের সব
বাণী বাতিল ঘোষণা। কুরআনের সঠিক উপলব্ধির জন্যে প্রয়োজন আয়াতটির গুরুত্ব জেনে
নেয়া। আইনগত বিধান, নৈতিকতা, সামাজিক সুসম্পর্ক ও যুদ্ধবিগ্রহ সবই ঐ বক্তব্যের
কেন্দ্রবিন্দু থেকে উৎসারিত। বারংবার একই কথা বলার উদ্দেশ্য মানবজাতিকে সেই আলোকে
আলোকিত করা। প্রথম প্রেরিত নবি ইব্রাহিম [আ]-এর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি। আল্লাহ্র ওয়াহ্দানিয়াতের ধারণা
বর্তমান পৃথিবীর তিনটি মহান ধর্মের ভিত্তি। পবিত্র কা’বায় ইব্রাহিম প্রতিষ্ঠিত
প্রথম উপাসনালয় পৃথিবীর মানুষকে তাদের আত্ম-পরিচয়
উন্মোচন করতে সাহায্য করে।
এ সুরার মধ্যে কুরআনের পাঁচটি সরল ধারা, উৎস: আল কাইয়ুম।
আল্লাহ্র অস্তিত্বের বাস্তবতা বোঝার জন্যে একের পর এক রসুল পাঠান এই কারণে যে
শুধু বিশ্বাস নয়, বরং ন্যায়পরায়ণ
যুক্তিসংগত জীবনযাপনের মধ্যেই বুদ্ধি পরিচালিত উপলব্ধি আসা সম্ভব।
“666 ” - Robi User
“ ” - ???? ?? ?? ???????
“ ” - Raju
“The holly quran ” - Toush Abir