ভাগীরথির কোল ঘেষে হিজলের বিল। আক্ষরিক অর্থেই সেটি শ্বাপদসংকুল, সেখানে জলে কুমীর, ডাঙায় বাঘ। কিন্তু সেখানে বাঘ-কুমিরও এক ঘাটে জল খায় আরেকটি জিনিসের ভয়ে-সাপ। কালকেউটে, গোখরা, শঙ্খচূড় থেকে শুরু করে কোনো সাপ নেই সেখানে পাওয়া যায় না। এই সাপের অভয়ারণ্যেই বুক চিতিয়ে চলে একদল লোক। তারা জাতে বেদে; আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে বিষবৈদ্য। কিন্তু এই পান্ডববর্জিত বনে এই বৈদ্যরা এলো কোত্থেকে? লখিন্দরের বাবা চাঁদ সওদাগরের অভিশাপেই তাদের এই নির্বাসন, সেও আরেক চমক লাগানো কাহিনি।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নাগিনী কন্যা' সেই বিষবৈদ্যদের নিয়েই লেখা। এই উপন্যাসে বিষবৈদ্যরা যেন হিজলের বিল থেকে উঠে এসেছে রক্তমাংসের মানুষ হয়ে। তাদের জীবন এই রঙিন চশমা চোখে পরাবাস্তব কোনো কাহিনী বলে ভ্রম হয়।