সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ 'কাঁদো নদী কাঁদো'র কাহিনী শুরু হয়েছে স্টিমারে বসা দুই কথকের পরোক্ষ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। 'তবারক' ও 'আমি' - এই দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে সমগ্র কাহিনী বিস্তার লাভ করেছে। এই দুই ব্যক্তির কথন, বর্ণনা ও চিন্তনের মধ্য দিয়েই আমরা উপন্যাসের অন্যসব চরিত্রের সাথে পরিচিতি লাভ করি।
জীবনজিজ্ঞাসা বা দৃষ্টিভঙ্গি ও চেতনাপ্রবাহরীতি সহ আঙ্গিকের নানা মাত্রার কারণে এই উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যে এক প্রভাবশালী ও অনুসরণযোগ্য স্থান লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।