এক
রাত নামছে লস অ্যাঞ্জেলেস সিটিতে। পেটে প্রচণ্ড
খিদে নিয়ে ঘুরছে সে। টাকার জন্য হাত পাতছে লোকের কাছে। ভিক্ষের অভ্যেস নেই, ফলে
তাকাতে পারছে না কারও চোখের দিকে।
তার বয়সী ভিক্ষুক আরও আছে শহরে, যে কোনো কারণেই
হোক, বাড়ি ছেড়েছে অনেকেই। এখন আর বাড়ি নেই ঘর নেই ওদের, যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
রাত কাটানোর জায়গা খুঁজছে সে। সরকারি ছাউনিতে
যেতে পারবে না। ওরা ঠিকই তার পরিচয় বের করে ফেলবে, ধরে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে।
সুবিধামতো একটা দোরগোড়া বা বারান্দা পেলেই রাত
কাটানোর ব্যবস্থা হয়ে যেত। কিন্তু তার পরেও কথা থাকে। ওসব জায়গায়ও বাড়িছাড়া
মানুষের ভিড়। নতুনদের জায়গা দিতে চায় না। জায়গা দখল নিয়ে মারামারি এমনকি খুনও হয়ে
যায়।
হাঁটছে সে। হঠাৎ ঘণ্টার শব্দ শোনা গেল। অদ্ভুত,
কিন্তু বেশ মিষ্টি, কানে পীড়া দেয় না। পাশের পোড়ো এলাকা থেকে শোনা যাচ্ছে। এ রকম
জায়গায় ভালো মানুষ থাকে না। চোর-ডাকাতের আবাসস্থল, তাদের সঙ্গে যেন গলাগলি করে বাস
করে ইঁদুর আর নানারকম পোকামাকড়।
তারপর শোনা গেল কোরাস গান। একসঙ্গে গলা মিলিয়ে শুরু
হলো ধীর লয়ে, বাড়তে থাকল ধীরে ধীরে, জোরালো হলো শব্দ। পায়ে পায়ে এগিয়ে চলল সে। কিংবা
বলা যায়, অদৃশ্য সুতো ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হলো তাকে।
মন্দিরের মতো চোখা চূড়াওয়ালা বাড়িটার গায়ে ধাক্কা
খাওয়ার আগে যেন বুঝতেই পারল না পৌঁছে গেছে সে, এ জায়গাটাই খুঁজছিল। বিচিত্র
ভঙ্গিতে দুলে দুলে সুর করে গাইছে একদল টিনএজ ছেলেমেয়ে। ভরে গেছে বাড়ির ভেতরটা,
সেখানে জায়গা না হওয়ায় অনেকে ঠাঁই নিয়েছে পথে।
সাদা, ঢোলা আলখেল্লার মতো পোশাক পরেছে সবাই,
কোমরে সাদা ফিতে দিয়ে বাঁধা। পায়ে হালকা চপ্পল। মেয়েদের মাথায় বড় সাদা রুমাল।
সবাই সুখী, ওদের মুখ দেখেই বোঝা গেল। উজ্জ্বল
নিয়ন আলো জ্বলছে বাড়ির বাইরে, নিয়ন আলোতেই লেখা রয়েছে : ধর্মশালা।
কোন ধরনের মন্দির ওটা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান
চলছে, বুঝতে পারল সে।
‘পালাও! জলদি ভাগো এখান থেকে!’ হুঁশিয়ার করল তার
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়। কিন্তু যাওয়ার জন্য আসেনি সে। বাতাসে খাবারের সুগন্ধ। মোচড় দিয়ে
উঠল শূন্য পেট। ছায়া থেকে আলোয় বেরিয়ে এলো সে।
“ ” - Robi User
“ ” - Jubida Khanum
“ ” - Robi User
“Full of thrilled! ” - MD. ZIHAD HOSSEN