রাতে ঘুমের
ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়লাম৷ শুয়ে পড়ার সাথে সাথেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম৷ হঠাৎ দেখলাম
একটি অপরিচিত জায়গা৷অনেক মানুষ৷ পরিবেশটা কেমন যেন প্রাচীন প্রাচীন মনে হচ্ছে৷ যেন
বহু বছর আগের৷কারণ মানুষগুলোর পোশাক অনেক পুরনো ধাঁচের৷এখন আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি
তার চারপাশে শুধু বাঁশের দোকান ও মানুষজন ভীড় করে জিনিসপত্র কেনাকাটা করছে৷ তাদের
কথা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি কিন্তু কিছুই বোধগম্য নয়৷ অনেক উঁচু উঁচু পাহাড়৷ পাহাড়ের
ওপর সাদা সাদা মেঘের টুকরো৷ আমার চোখ আটকে গেল এক বাচ্চার ওপর৷ বাচ্চাটার শরীর
রক্তাক্ত৷ শূন্য দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে৷ তার দৃষ্টি কোনো স্বাভাবিক
দৃষ্টি নয়, অনেক গভীর অনেক৷ এত গভীর যে আমি তার দৃষ্টিতে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে পারি৷
মনে হচ্ছে এটা খুব ভয়ংকর একটি স্থান৷ ফিসফিসিয়ে বললাম,"আমি এখানে কিভাবে এলাম?"
তারপর চিৎকার করে বললাম,"কিভাবে এলাম?" জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে চারদিকে
তাকিয়ে দেখলাম এটা আমার রুম৷ কোনো কিছুই তো নেই৷ এর অর্থ যা দেখেছিলাম সব স্বপ্ন৷
আশ্চর্যের ব্যাপার এতটা বাস্তব কোনো স্বপ্ন হয়! এই শীতের সময়ও ঘেমে গেছি৷ পাশের
মসজিদে ফজরের আজান দিচ্ছে৷ঘুমের ঔষুধ খাওয়ার পরেও স্বপ্ন দেখেছি! আশ্চর্য!