সমুদ্রের পানিতে যখন বসে ছিলাম, একটা অদ্ভুত উপলব্ধি হয়েছিল। সাগরের পানি এসে
গায়ে জোরে বাড়ি দিচ্ছে। আমাকে উল্টে পালটে অনেকটা ঘুরিয়ে ফেলে দিচ্ছে। গায়ে
বালু আর শ্যাওলা লেগে যাচ্ছে। অনেক লবণাক্ত পানি নাক, চোখ, মুখে ঢুকে বেশ
জ্বালাপোড়া করছে। এদিকে আমি তখন হাসছি খিলখিল করে।
আমার মনে হলো, সমুদ্র কত বিশাল! আর আমি কত ক্ষুদ্র! সমুদ্রের বিশালতার মাঝে
আমার মনের সমস্যাগুলোকে যদি ফেলে দিই, তুলনায় তা কত ক্ষুদ্র, নগণ্য বলে মনে হবে!
তলিয়ে যাবে এক নিমিষেই। এরপরেও জীবনে চলার পথে আমরা আমাদের সমস্যাগুলোকে অনেক বড়
মনে করি। মনে করি, ঝড়ের মতো আসা বিপদ আমাদের খেয়ে শেষ করে ফেলবে। অথচ দুইদিন পর
ঠিকই সেই বিপদ বুদবুদ হয়ে উড়ে যায়। কেন তাহলে ধৈর্যহারা হই?
কারণ মহাপ্রকৃতির মাঝে আমরা যে মানুষ, নিজেদের অনেক বড় কিছু ভাবি। সমুদ্র যেন
আমার সেই অহংকারকেই ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছিল।
আবার একটু পর সমুদ্র এসে আমার সারা গা ভিজিয়ে দিয়ে আমাকে আলিঙ্গন করে যেন
কানে-কানে ফিসফিস করে বলল, “তুমিই সমুদ্র!”