একটি শিল্পমাধ্যম হিসেবে চলচ্চিত্রের আজ যে বিশ্বজোড়া জনপ্রিয়তা তার অন্যতম দাবিদার একটি ছোটখাট মানুষ, যার নাম—চার্লি চ্যাপলিন। আফ্রিকার কৌম উপজাতির কোনও মানুষ থেকে পূর্ব ও পশ্চিমের নাগরিক বিদগ্ধ সব বুদ্ধিজীবী, চ্যাপলিনকে ভালবাসে না কে? প্রায় চার দশক আগে চ্যাপলিন পৃথিবীর মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছেন, কিন্তু আজও তাঁকে নিয়ে লেখালিখির অন্ত নেই। চলচ্চিত্রের সমালোচকেরা চ্যাপলিনকে নিয়ে প্রচুর লিখেছেন, তবে সৃজনশীল চলচ্চিত্রকারেরা যখন তাদের সমপেশার এই মানুষটিকে নিয়ে লেখেন তখন তা আলাদা একটা মাত্রা পায়। আইজেনস্টাইন থেকে মৃণাল সেন অনেক চলচ্চিত্রকারই চ্যাপলিনকে নিয়ে বই লিখেছেন। চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেলও চ্যাপলিনের জীবন ও কর্ম নিয়ে মননশীল চর্চা করেছেন। একজন সৃজনশীল চলচ্চিত্রকারের চ্যাপলিন-ভাবনা নিঃসন্দেহে চ্যাপলিনচর্চাকে একটু আলাদাভাবেই সমৃদ্ধ করে। এটা আনন্দের বিষয় যে বাংলাভাষাতে চ্যাপলিনকে নিয়ে অনেক বই, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লেখা হয়েছে ও হচ্ছে। তানভীর মোকাম্মেলের ক্ষুদ্র কিন্তু ব্যতিক্রমী এই বইটি ‘‘চ্যাপলিন : ভবঘুরের দিগ্বিজয়’’ বাংলা ভাষায় চ্যাপলিন চর্চায় যোগ করল আরেকটি উল্লেখ্য সংযোজন।