নজরুল-সংগীতের
বর্তমান সমস্যাটি অনেক বড় তা হলো গানের বাণী
ও সুরের বিকৃতি। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নজরুলের সুস্থাবস্থায় তাঁর নিজের দেওয়া সুরে
এবং অন্যের দেওয়া কবির অনুমোদিত সুরে যে-সব গান রেকর্ড করা হয়েছিল এবং খ্যাতনামা কণ্ঠশিল্পীদের
কণ্ঠে যে-সব গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল, গত কয়েক দশকে সে-সব গানের বাণী ও সুর
যথেষ্ট পরিমাণে বিকৃত হয়েছে। শিল্পীদের কণ্ঠে গীত গানের বাণী ও সুর অনুসরণ না করার
ফলেই নজরুল-সংগীতের এইরূপ বিকৃতি এবং তার বাণীরূপের বিপর্যয় ঘটেছে। বিকৃতি রোধে তথা
নজরুল অনুমোদিত সুর সংরক্ষণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রচারের জন্যে নানা কার্যক্রমে
সক্রিয়ভাবেই নিয়োজিত নজরুল ইন্সটিটিউট। ‘নজরুল-সংগীত স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদ’ কর্তৃক
শুদ্ধতা যাচাই, প্রমাণীকরণ, সত্যায়ন ও অনুমোদনের পর এই প্রামাণ্য নজরুল-সংগীত স্বরলিপি
একচল্লিশতম খণ্ড প্রকাশিত হলো। স্বরলিপিকার এস.এম আহসান মুর্শেদ।