‘ঝিলিমিলি’ বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের জনপ্রিয় বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি নাটক। তাঁর
নাটকে সামাজিক অবস্থা ও এর থেকে উত্তরণের উপায় এবং একই সঙ্গে ভবিষ্যতে পথচলার
দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। মির্জা সাহেবের দ্বিতল বাড়ির ওপর-তালার প্রকোষ্ঠ। মির্জা সাহেবের
ষোড়শী মেয়ে ফিরোজা রোগশয্যায় শায়িতা। সব জানালা বন্ধ, শুধু পশ্চিম দরজা খোলা। বাইরে
বৃষ্টি হচ্ছে। ‘ঝিলিমিলি’-তে তিনটি দৃশ্য রয়েছে। “হাবিবদের কামরার বাতায়ন রুদ্ধ।
শুধু ঝিলিমিলি খোলা। ঝিলিমিলির ফাঁক দিয়া নিবু-নিবু দীপশিখার মলিন আলো কান্নার মত করুণ হইয়া দেখা
দিতেছে। ভিতরের আর কিছু দেখা যাইতেছে না। ডাক্তার বারে বারে নাড়ি দেখিতেছেন। শেষে
হাতে একটা ইঞ্জেকশন দিয়া ডাক্তার কাহাকেও কিছু না বলিয়া চোখ মুছিতে মুছিতে বাহিরে
উঠিয়া গেলেন।”