নন্দিত কথাসাহিত্যিক
হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস
‘লীলাবতী’। উপন্যাসে জড়িয়ে আছে কল্পনার
পাশাপাশি লেখকের জীবনে ঘটে যাওয়া
নানা কথা। লেখকের
শৈশবের একটি বড় অংশ কেটেছে
মোহনগঞ্জে, তার নানার বাড়িতে। সেই বাড়িটি
ছিল ছায়াময়, পেছনে ঘন জঙ্গল। জঙ্গলের ভেতর ‘সারদেয়াল’—পূর্বপুরুষদের কবরস্থান। সবকিছুই রহস্যময়। লেখকের
ভাষায়, “সন্ধ্যাবেলায় সারদেয়ালে
ছায়ামূৰ্তিরা হাঁটাহাঁটি করে। গভীর
রাতে বাড়ির ছাদে ভূতে
ঢিল মারে। কেউ তেমন
পাত্তা দেয় না। অশরীরী
কিছু যন্ত্রণা তো করবেই। মূল বাড়ি থেকে অনেক
দূরে বিশাল এক তেঁতুলগাছের
পাশে টাট্টিখানা। সন্ধ্যার
পর যারা টাট্টিখানায় যায় তারা
না-কি প্রায়ই
তেঁতুলগাছে পা ঝুলিয়ে ‘পেততুনি’ বসে থাকতে
দেখে। বাড়ির কাছেই
দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ। মাঠভর্তি
বক। লেখকের নানা
দোনলা বন্দুক হাতে একসময়
বক শিকারে বের হন। ছররা বন্দুকের গুলি করেন
তিনি। অনেকগুলো বক একসঙ্গে
মারা পড়ে। মাথার
ওপর মৃত বকদের সঙ্গীরা
ট্যা ট্যা শব্দে করে ঘোরে- সে এক অদ্ভুত
দৃশ্য!” নানাবাড়ির সেইসব স্মৃতি
মাথায় রেখে ‘লীলাবতী’ উপন্যাসটি
লিখেছেন লেখক।
“ ” - Md Shadin
“ ” - Robi User
“ ” - Robi User
“ ” - A.S.M.Ahsanul Hoque