মোট পাতা: 440
বিষয়: উপন্যাস
শীর্ষেন্দু
মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘যাও পাখি’। খুনে
ডাকাত বহেরু একখানা গাঁ তৈরি করেছিল। নিজেই তার নাম রেখেছিল বহেরু গাঁ। সেখানে মানুষের
চিড়িয়াখানা তৈরি করেছে সে। যত কিম্ভূত মানুষ ধরে এনে আশ্রয় দিত সেই বহেরু গাঁয়ে। সংসারে
বনিবনার অভাবে একদা এই গাঁয়ে চলে এলেন বজ্রগোপাল । এ সংসারে কিছু চাওয়ার নেই তাঁর।
ডায়েরির সাদা পাতায় তবু তিনি লিখে রেখেছিলেন -ভগবান, উহারা যেন সুখে থাকে। নিরুদ্দেশ
হয়ে যাওয়া মানবিক মূল্যবোধ ও দিশাহীনতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ব্রজগোপাল কি এক অসংশয়িত উত্তরণের
স্বপ্ন দেখেছিলেন? সংসার-উদাসী বাবার খোঁজে
বহেরুতে এসেছিল সোমেন। বাবর রোজনামচায় লেখা ওই পঙ্ক্তি রহস্য বুকে নিয়ে সে কলকাতায়
ফিরে গেল। বহেরু গাঁ থেকে ফিরে তাকে যেতে হইল, কেননা প্রত্যেক মানুষেরই একটা ফেরার
জায়গা চাই। যদিও সেই কলাকাতায়, সেখানে অন্যরকম জীবন, হাজার রকম মানুষ। সোমেনকে ঘিরে
এক সৃষ্টিছাড়া সমাজ। তারপর? রিখিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত কোথায় পৌঁছেছে?
গ্রাম ও কলকাতা- এই দুই বৃত্তের টানাপোড়েন এবং সংলগ্নতায় সৃষ্ট এই কাহিনী নিষ্ঠুর সময়ের
অভিঘাতে পীড়িত ব্যক্তিসত্তার সম্পূর্ণ অ্যালবাম। এর বর্ণাঢ্য বিস্তারে, ঘাত-প্রতিঘাতে,বিরহ-মিলনে
অসংখ্য ছবির মধ্যে জগৎ ও জীবন উৎকীর্ণ হয়ে আছে। এক মহৎ উপন্যাসের নাম ‘যাও পাখি’।